ইসলামে নাম রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “কিয়ামতের দিন তোমাদের নিজ নিজ নাম ও তাদের পিতার নামে ডাকা হবে, তাই তোমরা সুন্দর নাম রাখো।” (সুনানে আবু দাউদ)। পবিত্র কুরআন এবং হাদিস থেকে অনুপ্রাণিত নামগুলো শিশুদের জন্য আশীর্বাদ ও সুন্দর অর্থ বহন করে। নিচে কুরআনের বিভিন্ন আয়াত থেকে উৎসারিত ১০০টিরও বেশি মুসলিম ছেলেদের নামের তালিকা দেওয়া হলো, যার উৎস হিসেবে Quran.com ব্যবহৃত হয়েছে।
কুরআন থেকে নামের তালিকা
নিচের নামগুলো কুরআনে উল্লিখিত বিভিন্ন নবী, সাহাবী, গুণাবলী, এবং ঐশী বৈশিষ্ট্য থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি নামের পাশে এর অর্থ এবং কুরআনের সূরা বা আয়াতের রেফারেন্স (যেখানে সম্ভব) দেওয়া হলো।
আদম – প্রথম মানুষ, নবী (সূরা আল-ইমরান ৩:৩৩)। অর্থ: মানুষ, মাটির সৃষ্ট।
মুস্তাফা – নির্বাচিত (নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর উপাধি)।
নাদিম – বন্ধু।
নাঈম – সুখী (সূরা আল-ইনফিতার ৮২:১৩)।
নূর – আলো (সূরা নূর ২৪:৩৫)।
কুদ্দুস – পবিত্র।
রহমত – দয়া (সূরা আর-রাহমান্মান)।
রিয়াদ – বাগান (সূরা আশ-শারহ)।
সাফি – বিশুদ্ধ।
সালাম – শান্তি (সূরা আল হাশর)।
শাহিদ – সাক্ষী (সূরা আল আহযাব)।
তৌফিক – সাফল্য।
ওয়াহিদ – একক (সূরা আল বাকারা)।
নাম রাখার কিছু পরামর্শ
অর্থ জানুন: নামের অর্থ সুন্দর ও ইতিবাচক হওয়া উচিত।
কুরআন ও হাদিসের অনুসরণ: কুরআন এবং হাদিসে উল্লিখিত নামগুলো প্রাধান্য দিন।
সহজ উচ্চারণ: নামটি সহজে উচ্চারণযোগ্য হওয়া উচিত।
পিতার নামের সাথে মিল: নামটি পিতার নামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে ভালো।
এই নামগুলো পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সূরা এবং আয়াত থেকে সংগৃহীত। বিস্তারিত জানতে Quran.com ভিজিট করুন। এই ওয়েবসাইটে কুরআনের আরবি, বাংলা, এবং ইংরেজি অনুবাদ ও তাফসির পাওয়া যায়।